Monday, January 23, 2012

নিজে করি ফুলের ঝাড়


শুকনো ধুন্দুলের খোসা দিয়ে ফুলের ঝাড় বানান। কিভাবে বানাবেন তা শেখাচ্ছেন এনআর ক্রাফট ইনস্টিটিউশনের কাজী সানজিদা নাহিদ, ছবি : আফরিন

উপকরণ : ধুন্দুলের শুকনো খোসা, আঠা, বাঁশের শলা, নারকেলের মালা ও কাঁচি
১. ধুন্দুলের খোসার প্রতিটি জয়েন্ট কাটুন। এবার ওপরে চিকন উঁচু অংশও কেটে নিন।
২. কাটা চিকন অংশের মাঝ বরাবর আঠা লাগিয়ে একটার নিচে একটা জোড়া লাগিয়ে ফুল তৈরি করুন।
৩. ফুলের কলির জন্য অন্য একটি ধুন্দুলের ওপরের দিক সামান্য কেটে নিন।
৪. নারকেলের মালা ডিজাইন করে কেটে বাঁশের শলা লাগিয়ে ফুলগাছ তৈরি করুন।
৫. কলির ওপরের দিকে পাপড়ির মতো করে কেটে কলি বানান।
৬. এবার কলিটি লাগান।
৭. ধুন্দুলের তৈরি ফুলটি বাঁশের তৈরি গাছে সেট করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ধুন্দুলের ফুলের ঝাড়।

Monday, January 9, 2012

বেতির টেবিল ম্যাট


প্লাস্টিকের বেতি দিয়ে তৈরি করুন টেবিলম্যাট। কিভাবে বানাবেন তা শেখাচ্ছেন এন.আর ক্রাফট ইনস্টিটিউশনের কাজী সানজিদা নাহিদ ছবি : আফরিন

উপকরণ : বেতি, পুঁতি, কাঁচি

Friday, January 6, 2012

রিবনের কানের দুল


রিবন দিয়ে অনেক কিছুই হয়। এবার তৈরি করুন কানের দুল। শেখাচ্ছেন এনআর ক্র্যাফট ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী শারমিন জাহান মিলি।
ছবি : রফিকুর রহমান রেকু

উপকরণ : কাগজ, আঠা, রিবন, আংটা ও কাঁচি

ককশিটের কলমদানি

ককশিটের কলমদানি
নিজেই তৈরি করুন কলমদানি। কিভাবে বানাবেন জানাচ্ছেন তাজরুবা তাহসিন নীলিমা। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু

উপকরণ : অ্যাপলিকের কাপড়, ফোম, লেস, সুই, সুতা, বোতাম, কাঁচি ও সেলাই মেশিন।

মোবাইল ব্যাগ


হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এক ধরনের বিড়ম্বনা। মোবাইল হ্যান্ডসেট রাখার জন্য তৈরি করে নিন মোবাইল ব্যাগ। বানানোর পদ্ধতি জানাচ্ছেন পারিজাত একাডেমীর জিন্নাত রায়হান, ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
উপকরণ : অ্যাপলিকের কাপড়, ফোম, লেস, সুই, সুতা, বোতাম, কাঁচি ও সেলাই মেশিন।

ফিতার জিনিয়া

ফুলফিতা দিয়ে তৈরি করুন ঘর সাজানোর ফুল। পদ্ধতি জানাচ্ছেন এন আর ক্র্যাফট ইনস্টিটিউটের সানজিদা আফরিন। ছবি : কাকলী প্রধান
উপকরণ : মেরুন ও সবুজ রঙের চিকন ফিতা, সলিউশন আঠা,
বাঁশের শলা, কাঁচি, চিকন লোহা।

শারদ সাজ

শারদ সাজপূজার সাজের বিস্তারিত জানাচ্ছেন কানিজ আলমাস খান।
দুর্গাপূজার শুরু থেকেই পূজার সাজ শুরু হয়ে যায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ বিসর্জন পর্যন্ত উৎসব চলে; চলে দেবী অর্চনা, শঙ্খনিনাদ, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনি। উৎসবের শুরুর দিকে অর্থাৎ পঞ্চমী, ষষ্ঠী বা অষ্টমীতে_এমনকি নবমীর সকাল-সন্ধ্যার সাজও কিছুটা হালকা হতে পারে। যেহেতু দশমীর দিন ড্যাজলিং লুক আনার লক্ষ্য থাকে সবার, তাই দশমীর আগের দিনগুলোতে হালকা বেজ, লাইট কালারড্ লিপস্টিক-ব্লাশঅন-আইশ্যাডো দেওয়া যেতে পারে। পোশাকের রং বাছাইয়েও একই দক্ষতা দেখানো যায়, অর্থাৎ দশমী পর্যন্ত আপনি ধীরে ধীরে রঙিন হয়ে উঠতে পারেন।


অষ্টমীর দিন
প্রথমে মুখ ক্লিন করে টোনিং করে নিন। এরপর লাগান ফাউন্ডেশন। এর ওপর কম্প্যাক্টের প্রলেপ বুলিয়ে নিতে পারেন। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কন্ট্রাস্ট করে চোখে শ্যাডো লাগাতে পারেন। চোখের নিচের পাতায় কাজল দিয়ে রেখা টানুন। ওপরের পাতায় পেনসিল আইলাইনার দিয়ে কিছুটা মোটা করে লাইন টেনে আইশ্যাডো ব্রাশ বা কিউ-টিপ অথবা আঙুলের ডগা দিয়ে খানিকটা স্মাজ করে দিন। এরপর ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে নিন। লিপ পেনসিল দিয়ে লিপস্টিক পরুন। চোখের মেকআপ যদি খুব গাঢ় করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিকই মানানসই হবে। শাড়ি পরলে মানানসই টিপ লাগিয়ে নিতে পারেন।

দশমীর দিন
সাজ নেওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বেছে নিতে হবে। অবশ্য আপনার যদি খুব ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকে, সে ক্ষেত্রে টোনিং করার আগে তুলায় অথবা সুতির রুমালে এক টুকরো বরফ জড়িয়ে মুখে ও গলায় ঘষে নিন। তারপর অল্প একটু ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে হালকা হাতে আপওয়ার্ড এবং আউটওয়ার্ড মুভমেন্টে ঘুরিয়ে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। ম্যাসাজ করবেন না। দশমীর দিনে সবাই শাড়িই বেশি পরেন; পর্যাপ্ত আলোযুক্ত স্থানে বসে মেকআপ শুরু করুন। ফাউন্ডেশনের তুলনায় এক অথবা দুই শেড লাইট কনসিলার নিন; আঙুলের অথবা ব্রাশের সাহায্যে চোখের পাশে, পাতায় ও অন্যান্য ডার্ক অংশে কনসিলার লাগান; আপনার কনসিলার যদি ম্যাট ফিনিশিং হয়, তবে তা আইশ্যাডো ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের টোনের সঙ্গে খাপ খায় এমন ফাউন্ডেশন নিন। আপনি আঙুল অথবা স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। পানি স্প্রে করে ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে চেপে অতিরিক্ত পানি তুলে ফেলে স্পঞ্জ দিয়ে চেপে ফাউন্ডেশন বসিয়ে দিন। এরপর আইব্রো আঁকার জন্য আইব্রোর রঙের সঙ্গে যায় এমন কালার নিন। কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে দু-তিনটি শেড বেছে নিন। সবচেয়ে হালকা রঙের শ্যাডো দিয়ে পুরো চোখের পাতায় (আইব্রোর প্রান্ত পর্যন্ত) লাগিয়ে এরপর এরই এক শেড ডিপ বা প্রাথমিক রঙের সঙ্গে যায় এমন কালার দিয়ে ইনার কর্নার থেকে ভেতরের দিকে ছোট ছোট স্ট্রোকে আইশ্যাডোর কালার লাগিয়ে নিন। মাশকারা দেওয়ার পর পরিষ্কার করা (কালার ছাড়া) অথবা নতুন ব্রাশ দিয়ে অতিরিক্ত দলা হয়ে থাকা কালার ব্রাশ করে নিন। লোয়ার ল্যাশে মাশকারা লাগানোর আগে টিস্যু দিয়ে চেপে অতিরিক্তটুকু কমিয়ে নিন। এবার আপনি ব্লাশ লাগাবেন। চিক বোনের নিচ থেকে কানের দিকে ধীরে ধীরে টেনে ব্লাশারের কালার গাঢ় করুন। কপালের পাশে, থুতনি, নাক অথবা কপালে ব্লাশার লাগাবেন না। ঠোঁট এঁকে গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন। মেকআপে আবারও ফিরে এসেছে কিলার রেড লিপস্ আর কপালে বড় লাল টিপ পরে নিয়ে পরিণীতা হলে সিঁথিতে দিন সিঁদুর। শাড়ি ও গয়না পরে নিন। বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের পারফিউম ব্যবহার করে নিন।

দিনের সাজ
সাজটা ন্যাচারাল হতে পারে। বেইজ করার জন্য ত্বকের টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা খুব হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। ফাউন্ডেশন হালকা করার জন্য এতে খানিকটা পানি অথবা গোলাপজল মিলিয়ে নিতে পারেন। খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে এর ওপর পাউডার বুলিয়ে নিন। মেকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে টোনিং শেষে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন। চোখে অফ হোয়াইট হাইলাইট, ব্ল্যাক-ব্রাউনের কম্বিনেশনে আইশ্যাডো, পেনসিল আইলাইনারের সফট্ লাইন এবং মাশকারা। ঠোঁটে লাইট পিংক, কোরাল বা মভ কালারের লিপস্টিক বা লিপস্টিকের বদলে লাগান এই কালারের লিপগ্লস। সঙ্গে ব্রাউন ব্লাশঅন।

রাতের সাজ
রাতের সাজ সব সময় জমকালো হয়ে থাকে, হালকা সাজ সাধারণত রাতের জন্য নয়। ফাউন্ডেশন এমনভাবে লাগাবেন, যেন বাড়তি কোনো ছাপ না থাকে। ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। চোখের ওপর অ্যাকোয়া ব্লু ও গ্রে আইশ্যাডো কম্বিনেশন করে লাগিয়ে নিন। এর ওপর হাইলাইট করুন শাইনি মভ বা সিলভার কালার দিয়ে। চোখের আউটার কোণে সিলভার হাইলাইটার স্মাজ করে দিন।
চোখের পাতায় দু-তিন পরত মাশকারা লাগাবেন; এতে পাপড়ি বড় ও ঘন দেখাবে। ঠোঁটে এঁকে নিন ফ্রস্টি পিংক বা স্লাইট মভ অথবা টকটকে লাল লিপস্টিক। কপালে বড় লাল টিপ পরে পরিণীতা হলে সিঁথি ভরিয়ে দিন সিঁদুরে। শাড়ি ও গয়না পরে নিন। রাতের সাজে গ্লসি লুক থাকতে পারে।

চুলের ধরন
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হেয়ার স্টাইলটা হতে পারে ব্লো আয়রন, কার্লিং আয়রন, স্পাইরাল রিং, রিং বান, ফ্রেঞ্চ বেণি অথবা পনিটেল। আর শাড়ির সঙ্গে সামনের চুল একটু ফুলিয়ে পেছনটা আয়রন করে খোলা রাখতে পারেন অথবা করতে পারেন হাতখোঁপা।